স্থানীয় প্রতিনিধি
জুবাইর জিহাদী
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার অদম্য এক মেধাবীর নাম শহীদুল ইসলাম আকাশ। কখনো একটা জামা দিয়েই সারা বছর পার, কখনোবা না খেয়েই স্কুলে যাওয়া, আবার কখনো, খালি পেটে সারাদিন কাটানো ছিল যার জীবন।
পরিবারের চরম অসচ্ছলতায় মাত্র ১৫ বছর বয়সে ,টাকা ধার করে মোবাইল কিনে তাতে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ধরেছিলেন সংসারের হাল। তার আয়েই চলে দুই বোন এক ভাইয়ের পড়াশোনা। পাশাপাশি চালাতে হয় নিজের পড়াশোনা ও গোটা সংসারের খরচ। বাবার আয় বলতে একটা জিএস গাড়ি রয়েছে, যা প্রতিদিন নষ্ট হয় বলে, তাতে আয় এর থেকে ব্যায় বেশি।
তবে এত কষ্টের মধ্য দিয়েও লক্ষ্য যেন একটাই, মেধার স্বাক্ষর রাখা। তারই ধারাবাহিকতায় শত কষ্টের অর্জন তার এসএসসিতে এ-প্লাস। ছেলে প্লাস পেয়েছে এ ব্যাপারে অনুভূতি জানতে চাইলে শহিদুল এর মা বলেন, ‘আজ আমার ছেলের জন্য আমার বুক ভরে গর্ব হচ্ছে।’
তার মা আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘যেখানে এই বয়সের ছেলেমেয়েরা পরিবারের টাকা ধ্বংস করে কত বাজে কাজ করে বেড়াচ্ছে, ঠিক সেই জায়গায় আমাদের ছোট্ট শহিদুল এই বয়সেই সংসার চালানোর পাশাপাশি ভালোভাবে পড়াশোনা করছে। আজকে একটা ভালো রেজাল্ট করে আমাদের সবার মুখ উজ্জ্বল করেছে।’
এ প্লাস পাওয়ার পর তার অনুভূতি কেমন তা জানতে চাইলে শহিদুল বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বাকিটা আল্লাহ ইচ্ছা করেছেন বলেই সম্ভব হয়েছে। আমার মনের শুধু একটাই স্বপ্ন, বড় হয়ে একটা কিছু করা যাতে আমার পরিবারের এই দুঃখ দুর্দশা দূর হয়। আমরা যাতে সুখে শান্তিতে, দু মুঠো ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারি।’
Leave a Reply