সদর প্রতিনিধি,তোফায়েল আহমেদঃ
রংপুরে সদর উপজেলায় সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিশাল মাহফিল করেছে জামায়াত ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের শ্যামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়নের দায়িত্বশীলরা চন্দনপাট ইউনিয়ন শাখা আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে এ আয়োজন সম্পন্ন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য জনাব মাওলানা মোঃ আব্দুল হান্নান। বিশেষ অতিথি রংপুর সদর উপজেলা শাখা আমীর মাওলানা মোঃ মাজহারুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ আব্দুল কাদের সহ মাওলানা শওকত হোসেন ওলামা পরিষদ সভাপতি সদর উপজেলা শাখা, হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক অধ্যক্ষ শ্যামপুর বন্দর মডেল মাদ্রাসা, মোঃ আবুল কালাম আজাদ সদর উপজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সহ সভাপতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চন্দনপাট ইউনিয়ন শাখা বায়তুল মাল সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ এবং ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিল্পীগোষ্ঠী অঙ্গীকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল হান্নান বলেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আনদোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই রংপুর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়েছে, “বুকে অনেক জ্বালা গুলি কর” আবু সাঈদের সেই রক্তস্নাত উক্তি দিয়ে শুরু করেন তার বক্তব্য।
তিনি বলেন, “মানবতার মুক্তিসনদ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বাস্তব নমুনা ছিলেন আল্লাহর রাসূল (সাঃ)। কুরআনে আল্লাহ পাক রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে বলেছেন, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ। জামায়াত আল্লাহর বিধান অনুসরণ ও রাসুল (সাঃ) এর আদর্শকে ধারণ করে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করছে” বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমাদের সমাজে ঘুষ, দুর্নীতি, ব্যভিচার অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন ও দখলবাজি সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দেশের মানুষের মধ্যে একটা অস্থিরতা বিরাজ করছিল। শিক্ষাব্যবস্থায় ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। শিক্ষার নামে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো এর মধ্য দিয়ে আমাদের শিশু কিশোর চরিত্র নষ্ট করা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আল্লাহ আমাদের ওপর রহম করেছেন। জাতির ওপর থেকে জগদ্দল পাথরের বোঝা সরিয়ে দিয়েছেন।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, রাসুল (সাঃ) তৎকালীন সমাজের অশিক্ষিত, বেদুইন জাতির কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে মহান আদর্শ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর উপর যে বিধান নাযিল হয়েছিল, সেই বিধান ছিলো পবিত্র আল কোরআন। সেই কোরআনের আলো দিয়ে তিনি সেই অন্ধকার যুগের সকল অন্ধকারকে দুর করে আলোকোজ্জ্বল করে তুলেছিলেন।
সিরাত মাহফিলে এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ঈমাম -মুয়াজ্জিন, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, ইসলামী চিন্তাবিদসহ বিভিন্ন বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply