১৯ই জুলাই ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “বাঁধন” এখন দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। সারা দেশের সকল জায়গায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই সংগঠনটি। একইভাবে এটির রংপুর বিভাগের অন্যতম বিদ্যাপীঠ রংপুর সরকারি কলেজে সক্রিয় রয়েছে। এখানে এটি আলাদা এক পরিচয়ে বেড়ে উঠেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় “বাঁধন, রংপুর সরকারি কলেজ শাখা” ১৫ই আগষ্ট “জাতীয় শোক দিবস”কে সামনে রেখে আয়োজন করে এক মনোরম কুইজ কুইজ প্রতিযোগিতার। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত এই কুইজ কুইজ এ বিভিন্ন প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস চালান তারা। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নের মাধ্যমে এই কুইজ কুইজ নেয়া হয়।
পরবর্তিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়েই সমাবেশের সুচনা করেন। সমাবেশে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীলরা বক্তব্য রাখেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর সরকারি কলেজ বাঁধন ২০২২ইং এর ঘোষণাকৃত কমিটি অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শর্মিলা আখতার, সহ-সভাপতি মোঃ নুরুল হুদা লিপন, জোনাল প্রতিনিধি সামিয়া সালমা, ভারপ্রাপ্ত সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কোষাধ্যক্ষ নাঈমুর রহমান শোভন, দপ্তর সম্পাদক স্বপন হাসান সম্রাট। এছাড়াও সিনিয়র সদস্য হিসেবে ছিলেন নাসিমুল হক শাকিল, মাহফুজুর রহমান, তপন চন্দ্র রায় সহ আরো অনেক দায়িত্বশীলবৃন্দ। বক্তব্যে মূলত সংগঠনের বিভিন্ন দিক গুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন বক্তাগণ। এছাড়া অরাজনৈতিক এই সংগঠনে আসার বিভিন্ন উপকারী ও প্রয়োজনিয়তা তুলে ধরেন তারা। পাশাপাশি নিজের অভিজ্ঞতা ও রক্ত দানের প্রতি উৎসাহিত করেন সকল শিক্ষার্থীদের। এরপর নতুন শিক্ষার্থীদের “বাঁধন” সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর ও অনুভুতি ব্যাক্ত করে ২য় সেশন সমাপ্ত করা হয়।
সভার সর্বশেষ সেশন, পুরষ্কার বিতরণী সেশন। সেশনে উপস্থিত থাকেন অত্র কলেজের বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। তারা হলেন, জনাবা সেলিনা পরভিন স্বপ্না; সহযোগী অধ্যাপক (রসায়ন বিভাগ), জনাব আব্দুল গফুর; সহকারি অধ্যাপক (প্রাণীবিদ্যা বিভাগ), জনাবা মাহবুবা খানম; প্রভাষক (অর্থনীতি বিভাগ), জনাব বিকাশ কুমার ঘোস; সহকারি অধ্যাপক (ব্যাবস্থাপনা বিভাগ)। সম্মানিত শিক্ষকগন কুইজ কুইজ পরীক্ষায় বিজয়ীদের ও সংগঠনের ষান্মাসিক সর্বশ্রেষ্ঠ কর্মীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। এরপর নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা সহ সংগঠনটির প্রয়োজনিয়তা তুলে ধরে নতুন শিক্ষার্থীদের আহ্বান করেন “বাঁধন” এ যোগদান করার। সর্বশেষ সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সমাবেশ শেষ করা হয়।
Leave a Reply