আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সম্মেলনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম তাদের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা ও হয়রানির অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) – এর নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মিথ্যা মামলায় পুলিশ হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন রংপুর জেলা বিএনপি। অবিলম্বে পুলিশ হয়রানি ও তল্লাশির নামে নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর বন্ধ না করলে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর জেলাকে অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে ১৫০ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় ছাত্রনেতা শরিফ নেওয়াজ জোহা, তুলিব, মোরসালিন, হারেস, সিরাজুল, যুবনেতা মনু, মুরাদ, মিথুনসহ বেশি কিছু নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হন। এদের মধ্যে মোরসালিন, তুলিব ও হারেসের চোখ এখন অন্ধ হওয়ার উপক্রম। পুলিশ বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে অমানবিক নির্যাতন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পুলিশ এবং যুবলীগের নেতাকর্মীরা মিলে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। উল্টো বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীর নামসহ দেড় হাজারের বেশি জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এই মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষকেও পুলিশ হয়রানি করছে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিনই পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে ভাঙচুর এবং পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছে।
সম্মেলনে অপর বক্তা আনিছুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পুলিশ দিয়ে হামলা করে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের গুলি করে পঙ্গু করা হচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের মহাসড়ক এখন লাশ, গুম, খুন, চোখ হারানো, হাত-পা হারানো এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের মহাসাগরে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ বাস, ট্রেনে এমনকি পাবলিক প্লেসে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য সাইদা রহমান জোসনা, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফসার আলী, সদস্য অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী, আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক লিটন পারভেজ, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাকিব হাসান, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ্ জিল্লুর রহমান জেমস, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল, সাধারণ সম্পাদক শরীফ নেওয়াজ জোহাসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply