রিপোর্টার
সাদি হোসেন শান্ত
রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের আড়াই কোটি মানুষের একমাত্র বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র রংপুর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রমেক)। কিন্তু এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দৌরাত্মে। তাদের সিন্ডিকেট এবং অসাধু চক্রের কাছে রোগীদের পাশাপাশি হাসপাতালটির চিকিৎসকরাও জিম্মি।
দীর্ঘদিন ধরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসাধু ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্ম, অব্যাবস্থাপনা এবং জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে।নেই কোনো সুষ্ঠু ব্যাবস্থা, কোনো নিয়ম। সাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার পরিবেশ রসাতলে গেছে।
এর প্রতিবাদে আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত মানববন্ধন করে চিকিৎসকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা.বিমল চন্দ্র রায়, উপাধ্যক্ষ ডা.মাহফুজার রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ ডা.নুরুন্নবী লাইজু এবং কর্মরত অন্যান্য চিকিৎসক বৃন্দ।
তারা অভিযোগ করেন মেডিকেল কলেজে একদল সিন্ডিকেট কাজ করছে যার কারনে হাস্পাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা অনেক দুর্ভোগে পড়েন। চিকিৎসকরাও বাদ পরেন না। গত ১৭ই সেপ্টেম্বর এক চিকিৎসকের মা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে তিনিও এমন অবস্থার শিকার হন। কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত দেয়ার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় নি।
অভিযোগ করে তারা আরও বলেন, ভর্তি হওয়ার পর ট্রলিতে করে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে এবং ট্রলি থেকে নামাতে ২০০ টাকা বকশিশ, বেড নিতে ৫০০ টাকা, চাদর বালিশ নিতে ১০০ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হয়। প্রতিবাদ করলে মারধরের শিকার হতে হয়। এমনকি রোগী মারা গেলে ট্রলিতে করে নিচে নামিয়ে আনা ও গাড়িতে তুলে দিতেও স্বজনদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা রাখে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
অবিলম্বে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে অসাধু চক্র ও সিন্ডিকেটদের সাথে জড়িত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে চিকিৎসা ও শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে, না হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি চিকিৎসক সমাজের।
মেডিকেলে এরকম ভোগান্তির শিকার অনেক মানুষকে বিব্রত করছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার