রিপোর্টার
তোফায়েল আহমেদ
মাঘ মাস আসতে অনেক দেরি । এরই মধ্যে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৮ ডিগ্রীতে।পঞ্চগড়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলেছে। আজ শনিবার দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত ৫-৭ দিন ধরে প্রায় প্রতিদিন বিকাল থেকে পরদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পুরো রংপুর বিভাগ। এবং উত্তরের হিমশীতল বাতাসে কনকনে শীত ও ঠান্ডা অনুভূত হয়। তবে বেলা ১২.৩০ টা এর পর থেকে সূর্যের আলোর পরশ ছড়িয়ে পড়লে শীতের আভাস কিছুটা কমে যায়। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও শনিবার সকাল ১০ টার পর থেকে রংপুর বিভাগের জেলা গুলোতে সর্বত্র ঝলমলে মিষ্টি রোদের দেখা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ এর মধ্যে থাকলে সেই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ এর নিচে এবং ৬ এর উপরে থাকলে বলা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। চলমান শৈত্যপ্রবাহে প্রত্যেকদিন সকাল ৯- ১০ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয়। হিমেল হাওয়া ও কনকনে এই শীতের সঙ্গে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের। জনজীবন স্থবির হয়ে গেছে। বিনা কারণে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। সেখানে শ্রমজীবি কর্মজীবি মানুষদের এ অবস্থাতেই জীবিকার সন্ধ্যানে বের হতে হচ্ছে।
পঞ্চগড়ে কাচা বাজার এলাকার ইজিবাইক চালক বলেন, “আমি প্রতিদিন নিয়মিত গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করি। কিন্তু ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার কারণে যাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন ছাড়া গাড়িতে উঠে না। এখন সেই আয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেন, দিন এবং রাতের তাপমাত্রার ওঠা-নামার সাথে শীতের তারতম্য অনুভূত হচ্ছে। আর এ কারণেই শিশু এবং বয়স্ক মানুষ সর্দি- কাশি, এ্যাজমা, হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালগুলোতে এসব রোগের ভর্তি রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসকরা এই সময়কে বেশি সতকর্তার সাথে পার করতে বলেছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ ও তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রুকুনুজ্জামান বলেন, “শনিবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রুপ নিতে পারে।”
Leave a Reply