স্টাফ রিপোর্টার
খন্দকার রাকিবুল ইসলাম
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নে জমি বন্টণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সহোদর ভাই ও বিচার পরিচালনাকারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুজরুক ঝালাই মৌজাস্থ মৃত আজিজল হকের কাছে থেকে ২৩৯৭ দাগের কওয়ালাসূত্রে তার ছেলে গোলজার হোসেন ৬ শতক জমি লাভ করে। গোলজার হোসেনের কওয়ালাকৃত জমির দখল না দেয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে বণ্টনের সময় তার সহোদর ভাই লিপিয়ার মিয়া জমি মাপকারী সার্ভেয়ার ও বিচারক ইউপি সদস্যকে প্রভাবিত করে কৌশলে পাওনার চেয়ে কম জমি বুঝিয়ে দেয় গোলজার হোসেনকে।
জমি দখল করেই বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করে লিপিয়ার মিয়া। বুঝিয়ে পাওয়া জমির পরিমাণে ঘাটতি মনে হওয়ায় স্থানীয় সার্ভেয়ার দ্বারা পুনরায় জমি মেপে দেখেন গোলজার মিয়া। জমির পরিমানে কম দেখে পুনরায় দ্বারস্থ হয়েছেন ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসীর কাছে।
অভিযোগ রয়েছে পুত্রসন্তান না থাকার সুযোগে গোলজার হোসেনের সহোদর দুই ভাই মোখলেছার রহমান ও লিপিয়ার মিয়া জমি বন্টণে বরারবরই জোর করে গোলজার হোসেনকে তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেছে। তারই অংশ হিসেবে ২৩৯৭ মৌজার জমি বণ্টনেও পাওনার চেয়ে ২ শতাংশ জমি কৌশলে কম দিয়েছে গোলজার হোসেনকে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গোলজার হোসেন বলেন, এই জমিতে পূর্বে আমার একটি কাঠের মেইল ছিলো। ছোট ভাই লিপিয়ার জোর করে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় সেটি বন্ধ হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সর্বশেষ বিচারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহিদুল নিজ দায়িত্বে জমি পরিমাপকারী সার্ভেয়ার এনে আমাকে জমি বুঝিয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি দেখতে পাই আমার ছোট ভাই লিপিয়ার মিয়া বিচারক ও সার্ভেয়ারকে প্রভাবিত করে আমাকে ঠকিয়েছে। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।
এ বিষয়ে সালিশি বৈঠক পরিচালনকারী বালারহাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাহিদুল ইসলাম জানান, আমি কারো দ্বারায় প্রভাবিত হইনি। এটি সার্ভেয়ার এর ভুল। সার্ভেয়ার যা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা তাই বুঝেছি। আবারো সার্ভেয়ার এনে এর মীমাংসা করা হবে।
Leave a Reply