স্থানীয় প্রতিনিধি
মাহাবুবুর রহমান
রংপুরের পীরগাছায় জোবেদা বেগম নামে (৪০) মহিলাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে তার স্বামী। পারিবারিক কলহ ও পরকীয়ার কারণেই নিজ স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় আঘাত করেন জাহাঙ্গীর মিয়া।
জানা যায়, নিহত জোবেদা বেগমের বাড়ি পীরগাছা উপজেলার ৭নং পীরগাছা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে কাঁচামাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় জোবায়দা বেগমের। তাদের চার মেয়ে রয়েছে। সংসারের অভাব দূর করতে পাঁচ বছর আগে জর্ডানে পাড়ি জমান জোবায়দা। তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য দেশে আসেন তিনি। বিয়ে শেষে আবারও মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জোবায়দা। কিন্তু স্বামী জাহাঙ্গীর তাকে নতুন করে বিদেশে যেতে দিতে ইচ্ছুক ছিলেন না।
এরইমধ্যে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন জোবায়দা। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ই ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক ১ টার দিকে প্রতিবেশীরা জোবেদা বেগমের চিৎকারের শব্দ পেয়ে ছুটে যায়। গিয়ে তারা দেখেন ঘুমন্ত জোবেদ বেগমের মাথায় টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে আঘাত করেন ঘাতক স্বামী জাহাঙ্গীর। পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরে আনুমানিক রাত ২ টার দিকে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় জোবেদা বেগমকে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এ্যাম্বুলেন্স সহ আনুমানিক ভোর ৪ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছান তারা। জরুরী বিভাগে ভর্তি করালে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জোবেদা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা দেন।
এদিকে পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান জানায়, “এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয় নি। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে ঘাতক স্বামী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।”
Leave a Reply