স্থানীয় প্রতিনিধি

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

রংপুরে অটো রিকশা চালককে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে রংপুর মেট্রো পুলিশ। খুনিরা জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। ঋণের টাকা শোধ এবং নেশার টাকা জোগাড় করতেই অটোচালক কামরুল হাসানকে হত্যা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার (৪ই এপ্রিল) দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “গত ৩১ মার্চ ইফতারের পর লালমনিরহাট যাওয়ার কথা বলে কামরুলের অটো ভাড়া করেন নগরীর রামপুরা এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে ফাইয়াজ ওরফে ফাইনাল (২৫)। এরপর তাকে কৌশলে প্রাইম মেডিকেল কলেজের পার্শ্বে দারোগার মোড় এলাকায় কামরুলের সাথে কথাবার্তার এক পর্যায়ে ফাইয়াজ ওরফে ফাইনাল, নগরীর রামপুরা এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে শাকিল হাসান (২০) ও পাবর্তীপুর এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে রাশেদ (২৫) তাকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে কামরুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সে ধানক্ষেতে পরে যায়। এ সময় ফাইয়াজ, শাকিল, রাশেদ অটো চালক কামরুলকে কাদায় মুখ চেপে ধরে এবং বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।”

তিনি আরো জানান “এরপর ফাইয়াজ কামরুলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় এবং রাশেদ অটোটি নিয়ে চলে যায়। পরে তারা শেখেরহাট নামক স্থানে অটোরিক্সার ৫টি ব্যাটারি খুলে বিক্রি করে টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। আসামি ফাইয়াজ তার শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাটে চলে যায় এবং রাশেদ ও শাকিল তার বাড়িতে চলে যায়। সোমবার সকালে দারোগার মোড় এলাকার ধান ক্ষেত থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।”

এ ঘটনায় ওই দিন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ভোর রাতে লালমনিরহাট সদরে অভিযান চালিয়ে ফাইয়াজ ও রংপুর নগরী থেকে শাকিল ও রাশেদকে গ্রেফতার করে।

আবু মারুফ হোসেন বলেন, “আমরা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করেছি। তারা পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার রায়, কোতয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান, কোতয়ালী থানার ওসি মাহফুজার রহমান, ওসি (তদন্ত) হোসেন আলী।