মিঠাপুকুর প্রতিনিধিঃ 

রিপন শাহরিয়ার 

রংপুরের মিঠাপুকুরে একই দিনে পৃথক দুই এলাকায় দুজন ফাঁসিতে ঝুলে করেছেন আত্মহত্যা । আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার ৩নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন থেকে আব্দুল কাদের শেখ (৫০) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় এবং একইদিন বিকেলে উপজেলার ২নং রানীপুকুর ইউনিয়ন থেকে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন আরিফা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ। উভয় ঘটনায় দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

জানা যায়, পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের আব্দুল কাদের শেখ (৫০) প্রতিদিনের ন্যায় তার নিজের ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। আজ বুধবার সকাল আনুমানিক ৮টায় তার তের বছর বয়সী ছেলে বাঁধন তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তাকে ডাকতে যায়। এ সময় বাবার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। পরে প্রতিবেশীরা মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় ।

এবিষয়ে নিহতের পরিবার জানান,গত রমজান মাসেও একবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কাদের শেখ। সে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন।

এদিকে,একইদিন বিকেলে উপজেলার ৩নং রানীপুকুর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের আরিফা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত আরিফা বেগমের প্রায় ৮ বছর আগে প্রথম বিবাহ হয়েছিল। পরে বিভিন্ন কারণে উভয়ের মাঝে বিচ্ছেদ হয়।পরে আরিফা ঢাকায় চলে যান। সেখানে আরেকজনের সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সে। বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকার ওই স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তার। স্বামীর অবহেলা থেকেই অভিমানে আরিফা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা তার পরিচিতদের। তবে, নিহত আরিফা বেগমের পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উভয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, “দুটি ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আব্দুল কাদের শেখের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আরিফার পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি”।