বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সদর উপজেলায় জামাতের সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠিত নতুন উপাচার্য পেল রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ রংপুর সদর উপজেলার সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উলিপুরের হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে বিশাল সাধারণ সভা রাধাকৃষ্ণপুর ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের লেকচারার দেলোয়ার হোসেন মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটির ভুয়া নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর কলেজ পরিচালনা। ‘স্বৈরাচারী সরকার হেফাজতের ৩ শীর্ষ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে’ গুলিবিদ্ধ শাহিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন ছাত্রশিবিরের গাইবান্ধা জেলা শাখা কুড়িগ্রামে চার শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতের ৮ লক্ষ টাকা বিতরণ। তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বদরগন্জে ট্রাক্টরে পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

রংপুর সদরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩

রিপোর্টারঃ

তোফায়েল আহমেদ

রংপুর সদরের ৪ নং সদ্যপুস্করনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা। গরিব অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের জন্য সরকার বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগে সদ্যপুস্করনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, আনছারুল, বাদশা মিয়া, সাইদুল হক, রেজাউল এবং সুমন চন্দ্র রায় কেশবপুর পালিচড়া।

গত বছরের ১৬ জানুয়ারী ২০২২ তারিখে দন্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট আমলে নিয়ে ফৌজদারী কার্যবিধিতে রংপুরের জেলা জজ আদালত, বিচার কার্যক্রম শুরু করেছেন।

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উক্ত মামলাটির ২নং আসামী সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে র‌্যাব-১৩ এর একটি অভিযান পরিচালনাকারী দল ৩০ মে ২০১৯ তারিখে ১৯ হাজার ৮শত টাকাসহ হাতে নাতে আটক করেন।

এ বিষয়ে ২নং আসামী সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে জিজ্ঞেস করা হলে উক্ত টাকা কোথায় কি ভাবে পেয়েছেন বা ১নং আসামী আনছারুল হকের গোডাউন ঘর থেকে সরকারী ভিজিএফ চাল উদ্ধারের সময় সেখানে তিনি কেন গেলেন? সে বিষয়ে তিনি সঠিক বক্তব্য দিতে পারেনি। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রমাণিত হয় যে, সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আত্মসাতকৃত চালের টাকা আনতে গিয়েছিলেন।

২নং আসামী সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অসদাচারণ এর মাধ্যমে ৮ লাখ ৫২ হাজার ১২০টাকা মূল্যের দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী ভিজিএফ চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়।

যা দন্ডবিধি ৪০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও আনছারুলকে। এবং চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, বাদশা মিয়া, সাইদুল হক, রেজাউল এবং সুমন চন্দ্র রায় কেশবপুর পালিচড়া।

তদন্তকালে দুদক তদন্ত কর্মকর্তা নুর আলমের কাছে, বিভিন্ন জব্দকৃত তালিকার স্বাক্ষী, জব্দকারী কর্মকর্তা এবং পূর্ববর্তী জব্দকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জনের বক্তব্য গ্রহণ করেন এবং তা পর্যালোচনা করেছেন।

দুদকের দেয়া চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, র‌্যাব-১৩ এর ডিএডি রবিউল আলম বাদি হয়ে দন্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/৩৪ ধারা তৎসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ সনের ২৫(১)/২৫ (ঘ) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি দুর্নীতি দমন আইন, ২০০৪ এর তফশীলভুক্ত হওয়ায় সদর কোতয়ালী থানার তৎকালীন ওসি গত ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর এ প্রেরণ করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে রংপুর দুদকের তৎকালিন উপসহকারী পরিচালক মোঃ নুর আলমকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তিনি ও তার পরিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন অভিযান, প্রশিক্ষণ, অন্যান্য ছুটি, আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদানসহ বিভিন্ন ল কাজে ব্যস্ত থাকায়। তাই তদন্ত প্রতিবেদন দিতে অনেক বেশি সময় বিলম্ব হয়।

এদিকে,সাংবাদিক মামুন অর রশিদ রংপুর জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন জানিয়ে বলেন, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯-এর-৩৪ এর (১) উপ-ধারা (৪) মোতাবেক সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে ফৌজদারি মামলার আসামী এবং তার অপরাধ আদালত আমলে নিয়েছে। এই কারনে সোহেল রানাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হোক।

রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন জানিয়েছেন, আমরা আবেদন পেয়েছি। সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত যদি সত্য হয়। তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়ে দেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত সংবাদ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর নিউজ ৩৬৫
ডিজাইন ও কারিগরী সহায়তায় আতিক