রিপোর্টার
তোফায়েল আহমেদ
প্রায় এক যুগ আগের কথা, তখন পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা শেষ করা মানেই ছিল বৃত্তি পরীক্ষার ধুম। এরপর শুরু হলো প্রাইমারি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (PECE)। তখন থেকে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ ছিল এতোদিন।
বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না থাকার কারনে শিক্ষা বোর্ড আবারো বৃত্তি পরিক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রায় এক যুগ পর প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা হবে। এবারে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি স্কুলের ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভালো ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রথম ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার। আলাদা কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
তবে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা এই হার বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। শিক্ষকদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ডিপিই মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হবে। তবে কত শতাংশ বাড়ানো তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সবার সাথে আলোচনা করে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।’
Leave a Reply