স্থানীয় প্রতিনিধি
সাদি হোসেন
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) মাননীয় মেয়র জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান রাস্তা ও ব্রিজ তৈরির প্রকল্পকে হাতে নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকেন। উক্ত মতবিনিময় সভাটি রসিকের ৩০ নং ওয়ার্ডের তিন মাথায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত মেয়র জনাব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। ৩০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ডাবলুর সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, “আপনাদের প্রতি আমার ভালোবাসা সবসময়। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন আপনাদের সেবা করার জন্য।আমার উচিত আপনাদের সেবা করা। দীর্ঘ দিন থেকে আমি দেখছি আপনারা অনেক কস্ট ভোগ করছেন। এটা আমার জন্য লজ্জাজনক। আমি অতি শীঘ্রই আপনাদের কষ্ট দূর করার চেস্টা করব এবং আপনার যাতায়াতের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্রিজ ও রাস্তা তৈরির কাজ হাতে নিব।”
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ দিন থেকে সাতমাথার পাশেই অবস্থিত আলমনগর এলাকার মানুষ অনেক কস্ট কর আসছে। তাদের একটি হাটার রাস্তা রয়েছে যা একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু সেটিও কাচা রাস্তা। বর্ষাকালে রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া অনেক কষ্ট স্বাধ্য হয়ে দারায়।
এর সাথেই রয়েছে শ্যামা সুন্দরী খাল। তার উপর বাশের সাঁকো বানিয়ে যাতায়াত করতেন এলাকাবাসী। কিন্তু বর্তমানে ব্রিজ দিয়ে হাটতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। তাই এলাকাবাসী দাবী করে যে জি এল রায় রোড (সাতমাথার প্রধান সড়ক) থেকে শ্যামাসুন্দরী খাল পর্যন্ত দশ ফিট চওড়া রাস্তা এবং খালের উপর ব্রিজ তৈরি করে দেয়ার।
এসময় উপস্থিত অতিথিরা মেয়রের প্রশংসা করে বিভিন্ন বক্তব্য দেন এবং সাধারন মানুষের কস্ট লাঘবের জন্য মেয়রের কাছে রাস্তা ও ব্রিজ সংস্কারের দাবী জানায়। তাছাড়াও এলাকাবাসীর কথাও মেয়র শোনেন এবং দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: জাহাংগীর আলম তোতা, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাদা আরমান, সাবেক ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ডাবলু ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং সাধারণ জনগণ।
পরে মতবিনিময় সভা শেষে মেয়র বিভিন্ন জায়গা পায়ে হেটে পরিদর্শন করেন। এলাকাবাসীকে সাথে করে পুরো এলাকা ঘুড়ে দেখেন নিজেই। সবাইকে খুব দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়ে এবং তার প্রতি অঘাত ভালোবাসা ধরে রাখার আহবান জানিয়ে বিদায় নেন তিনি।
Leave a Reply