স্থানীয় প্রতিনিধি

তোফায়েল আহমেদ 

রংপুর সদরের চন্দনপাঠ ইউনিয়নের লাহিড়ীরহাট বাজার সংলগ্ন মহিলা কলেজের পিছনে রিকশা চালককে মিষ্টি পানের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্যকে আটক করে এলাকাবাসী।  পরে কোতয়ালী থানা পুলিশের কর্তব্যরত এসআই ফিরোজের নেতৃত্বে গ্রেফতার করা হয় ছিনতাইকারীদের।

গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। মোঃ লাভলু (৪৮) পিতা আজগার আলী, ধনতলা পশ্চিমপাড়া, পোস্ট: ধনতলা, থানা: গংগাচড়া, জেলা: রংপুর। ২। শ্রী নারায়ন চন্দ্র রায় (৩২) পিতা অতুল চন্দ্র রায়, গ্রাম: ধনতলা রবি পাড়া, পোস্ট: ধনতলা, থানা: গংগাচড়া, জেলা:  রংপুর। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি  উদ্ধার করা হয়।

গত ২৭ই জুলাই (বৃহস্পতিবার) আনুমানিক রাত ৮.৪৫ মিনিটে প্রতিদিনের ন্যায় ওমর ফারুক তার অটোরিকশা নিয়ে বের হন। সন্ধার দিকে তার রংপুর টার্মিনাল থেকে লাহিড়ীরহাট পর্যন্ত একটি ভাড়া হয়। সে বুজতে পারেনা যে এটি একটি অজ্ঞান পার্টির চাল। তারা তাকে লাহিড়ীরহাট সংলগ্ন মহিলা কলেজের পিছনে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে চলে যাওয়া শুরু করে। পথিমধ্যে ঔ রোড দিয়ে দুই যুবক বাসায় যাচ্ছিল। এই দৃশ্য দেখে তাদের মনে সন্দেহ হয়। ছিনতাইকারীদের বাধা দিলে তাদেরকে ঔ ছিনতাই করা অটোরিকশাটি দিয়ে আহত করার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু তারা পিছু হটেনি। তাদের মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে ও  এলাকাবাসীর সাহায্যে তাদের ধরতে সমর্থ হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা সংঘবদ্ধ অটোরিকশা ছিনতাকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা ঘটনার দিন সন্ধ্যা অনুমান ৮.২০ টায় উক্ত অটোরিকশা চালক ওমর ফারুককে  মিষ্টি পানের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে তার অটোরিকশা  চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল।

এ সংক্রান্তে তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদি হন ভুক্তভোগী রিকশাচালক ওমর ফারুক। তদন্তের মাধ্যমে পুরো চক্রকের ধরার আশ্বাস দেন কর্তব্যরত পুলিশ।