আজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ০১:০০ ঘটিকার সময় নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) সহস্রাধিক নেতাকর্মী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের বেরিকেড উল্টিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা র‌্যালি করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে ৮ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে বিএনপির নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। কার্যালয়ের গলি অতিক্রম করে নগরীর প্রধান সড়কে আসে মিছিলটি। এ সময় পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে। ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। আধা ঘণ্টাব্যাপী পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ চলে।

সংঘর্ষের পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিযবুল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া ইসলাম জীমসহ অন্যরা।

সমাবেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগের নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদ জানান বক্তারা। সেই সঙ্গে জনগণকে সাথে নিয়ে আগামীতে বর্তমান সরকারকে উৎখাতের ঘোষণা দেন। এর আগে এই দিনে মৃত্যুবরণকারী মহানগর বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেনের বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সংঘর্ষের বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, “আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি। তবে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে তাদের বিরত থাকার চেষ্টা করতে গিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে।”

এদিকে, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।