মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ রংপুর সদর উপজেলার সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উলিপুরের হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে বিশাল সাধারণ সভা রাধাকৃষ্ণপুর ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের লেকচারার দেলোয়ার হোসেন মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটির ভুয়া নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর কলেজ পরিচালনা। ‘স্বৈরাচারী সরকার হেফাজতের ৩ শীর্ষ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে’ গুলিবিদ্ধ শাহিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন ছাত্রশিবিরের গাইবান্ধা জেলা শাখা কুড়িগ্রামে চার শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতের ৮ লক্ষ টাকা বিতরণ। তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বদরগন্জে ট্রাক্টরে পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু মাদক দিয়ে লাশ বানিয়ে মাদক পাচারের অভিনব কৌশল সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধিতে বিএসএফ ও বিজিবি বৈঠক 

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আনুমানিক ৫টার সময় গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই)  বুলবুল আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন হত্যাসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গঙ্গাচড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি উপজেলার ডাক বাংলোর দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে মিছিলের পেছন থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে পুলিশ লাঠিচার্জসহ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন সহ পুলিশের ২০ জন সদস্য ছাড়াও প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হন।

গতকাল আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আবদুল আলীম মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নিয়েছেন। বর্তমানে গঙ্গাচড়ায় স্বাভাবিক পরিস্থিত বিরাজ করছে।

গঙ্গচড়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মমতাজুল হক জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশকে লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করতে হয়। বর্তমানে সব স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় বিভিন্ন ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে উপজেলা শহরে। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত গঙ্গাচড়া বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কিছু দোকানপাট খুলতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশি টহল চোখে পড়ার মতো ছিল।

রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন সুজন দাবি করেন, গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটে আমাদের ১৫০ জন সদস্য এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত পুলিশের ভয়ে অনেকেই বাড়িছাড়া রয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঘটনার দিন সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন।

অন্যদিকে বিএনপি ও ছাত্রদলের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য, পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গঙ্গাচড়া উপজেলা ছাত্রলীগ। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ জেলা ছাত্রলীগের নেতারাও অংশ নেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত সংবাদ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর নিউজ ৩৬৫
ডিজাইন ও কারিগরী সহায়তায় আতিক