বেরোবি প্রতিনিধি
আল-আমিন হাসান
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সাধারণ সভার প্যান্ডেল সাজানোকে কেন্দ্র করে মাঠের সাইডে থাকা স্বাধীনতা স্মারকের ফলক উন্মোচনের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) স্বাধীনতা স্মারকের ফলক ও উন্মোচনের গাছকে সাদা কাফনের কাপড় লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন কলা অনুষদের ডিন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ তুহিন ওয়াদুদের নেতৃত্বে এই গাছ কাটা হয়।
শিক্ষার্থী মামুন শাকিল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বরণে স্বাধীনতা স্মারক নির্মাণের জন্য একটি তেতুল গাছ লাগিয়ে ফলক উন্মোচন করা হয়। গাছটি ১০ বছর থেকে লাগানো আছে। এই গাছের জন্য এতোদিন কোনো সমস্যা হয়নি আজ হটাৎ করে কেনো প্রোগ্রামের জন্য গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে তার কাছে প্রশ্ন? এমনকি গাছটির কাটা অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। স্বাধীনতা স্মারক ফলকের গাছ কাটার নেতৃত্বে যেহেতু তিনি দিয়েছেন অবশ্যই তিনি স্বাধীনতা বিরোধী।
শিক্ষার্থীরা গ্লোরিয়াস রাব্বি বলেন, ‘যে স্যার এক সময় ক্যাম্পাসকে সবুজ অভয়ারণ্যের জন্য হাজার হাজার গাছ লাগিয়েছিলো সেই স্যার আজকে স্বাধীনতা স্মারক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের গাছ কাটার নেতৃত্ব দিয়েছেন। একজন শিক্ষক কিভাবে এই কাজ করতে পারে? তার কাছে আমরা এটা কখনো প্রত্যাশা করিনি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক! সাবেক উপাচার্য ড. নুরুন্নবীর আমলে ভিত্তিটি স্থাপন করে গাছটি লাগিয়েছিলেন। তার সাথে খারাপ সম্পর্ক ছিলো এজন্য কি তিনি এই ভিসির আমলে এসে এরকম জঘন্যতম কাজ করলেন। তার কাছে আমাদের এই প্রশ্ন? এসব কর্মকাণ্ডের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে শাস্তি পেতে হবে। প্রশাসনের কাছে দাবি এটির বিচার হোক।’
শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যাকে আমরা বৃক্ষ মানব বলে জেনে থাকি তিনি এই কাজটি কিভাবে করতে পারলো? এই সুন্দর জায়গায় রোপন করা তেঁতুল গাছটি তো কোনো ক্ষতি করেনি তাহলে কেনো কেটে ফেলা লাগলো? বিষয়টি অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক।’
এ বিষয়ে ড. তুহিন ওয়াদুদকে ফোন দেওয়া হলে তিনি কল কেটে দেন। এরপরও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার কোনো সাড়া মেলেনি। পাশাপাশি উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদকে মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রোক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি আমি সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক থেকে দেখলাম। প্রশাসন থেকে গাছ কাটার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের থেকে কোনো লিখিত অভিযোগপত্র পাইনি। লিখিতো অভিযোগপত্র পেলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।’
Leave a Reply