শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফের পাঠদানে ফিরছে বেরোবি, জানাগেল তারিখ  সদর উপজেলায় জামাতের সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠিত নতুন উপাচার্য পেল রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ রংপুর সদর উপজেলার সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উলিপুরের হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে বিশাল সাধারণ সভা রাধাকৃষ্ণপুর ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের লেকচারার দেলোয়ার হোসেন মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটির ভুয়া নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর কলেজ পরিচালনা। ‘স্বৈরাচারী সরকার হেফাজতের ৩ শীর্ষ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে’ গুলিবিদ্ধ শাহিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন ছাত্রশিবিরের গাইবান্ধা জেলা শাখা কুড়িগ্রামে চার শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতের ৮ লক্ষ টাকা বিতরণ। তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

নির্মাণ কাজ শেষ হবার তিন বছর পরেও চালু হচ্ছে না রংপুর শিশু হাসপাতাল

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩
২০১৯ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১০০ শয্যার রংপুর শিশু হাসপাতালটি সিভিল সার্জনকে হস্তান্তর করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত  চালু করা হয়নি চিকিৎসা কার্যক্রম।

স্থানীয় প্রতিনিধি

তোফায়েল আহমেদ

২০১৯ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১০০ শয্যার রংপুর শিশু হাসপাতালটি সিভিল সার্জনকে হস্তান্তর করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত  চালু করা হয়নি চিকিৎসা কার্যক্রম। করোনার সময় ২০২০ সালে এই শিশু হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়।

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক শিশু হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও নার্সদের।

এছাড়াও জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকা যেতে হচ্ছে অনেক সময়।

রংপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বিশেষায়িত শিশু হাসপাতালের। এ প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে প্রায় দুই একর জমির ওপর শিশু হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু হঠাৎ করোনা মহামারির হানায় হাসপাতালটি ব্যবহার হয় করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতাল হিসেবে। তিনতলা বিশিষ্ট এ শিশু হাসপাতালে রয়েছে ইমার্জেন্সি, আউটডোর, চিকিৎসকদের চেম্বার, ল্যাব, অপারেশন থিয়েটার, ব্রোন ইউনিট, ওয়ার্ড ও কেবিন। হাসপাতাল চত্বরেই সুপারিনটেনডেন্ট কোয়ার্টার, ডক্টরস কোয়ার্টার, স্টাফ অ্যান্ড নার্স কোয়ার্টার, ড্রাইভার কোয়ার্টার ও বিদ্যুতের সাবস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে।

হাসপাতাল চালুর আগে দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যায়। করোনার বিস্তার কমে আসায় বন্ধ হয়েছে ডেডিকেটেট হাসপাতালের কার্যক্রম। কিন্ত আর চালু হয়নি শিশু হাসপাতালটি।

রংপুরে একজন স্থানীয় সমাজকর্মী ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু জানান, “এই হাসপাতালটির জন্য চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য জনবল প্রয়োজন তা অবিলম্বেব সরকারের দেয়া দরকার। শিশু হাসপাতালটি চালু হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে শিশুদের চাপ কিছুটা কমবে।”

রংপুর নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বিশেষায়িত একটি শিশু হাসপাতালের। এই প্রেক্ষিতেই সরকার একটি হাসপাতাল তৈরি করে দেয়। কিন্তু শিশু হাসপাতালটা চালু করা জরুরি। আর না হলে হাসপাতাল নির্মাণে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।”

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. ফখরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “শীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। হাসপাতালের প্রায় ১৮০ শয্যার বিপরীতে সাড়ে ৩০০ এর বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এবং  রংপুর মেডিকেলের শিশু ওয়ার্ডে যে কয়টি বেড আছে সেটি পর্যাপ্ত নয়। প্রতিদিন শীতের কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি বেডে দুইজন-তিনজন করে চিকিৎসা নিচ্ছেন খুব কষ্ট করে। এই পরিস্থিতিতে রংপুর শিশু হাসপাতালটি চালু হলে রংপুর মেডিকেলে যেমন চাপ কমবে, শিশুদের জন্য বিশেষায়িত এই হাসপাতালে শিশুরা ভালো চিকিৎসা পাবে। আমরা ওই হাসপাতাল চালুর জন্য অপেক্ষা করছি।”

সেইসাথে  প্রশাসনিক অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় জনবল পেলেই শিশু হাসপাতালটি চালু করা হবে বলে জানান বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, “হাসপাতালটি চালুর বিষয়ে ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় জনবল ও প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য লিখিতভাবে জানানো হবে। আশা করছি খুব দ্রুত ১০০ শয্যা বিশিষ্ট রংপুর শিশু হাসপাতালটি চালু করা হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত সংবাদ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর নিউজ ৩৬৫
ডিজাইন ও কারিগরী সহায়তায় আতিক