স্থানীয় প্রতিনিধি
তোফায়েল আহমেদ
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের গুন্ডা বাহিনীর কাছে সাংবাদিক মোশারফ হোসেনকে মারধরের অভিযোগ করেছেন তিনি। গতকাল আনুমানিক দুপুর ১২টায় এঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
গতকাল (২রা জুলাই) রবিবার আনুমানিক ১২.৩০ মিনিটে নজিরের হাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর সাইকেল গেরেজের ভিতর এ ঘটনাটি ঘটে। নজিরের হাট ব্যবসাই ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি লিটন মানিক এবং সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আকমার এর আয়োজনে মিমাংসা কাযকর্ম সংগঠিত হয়। চুড়ান্ত পর্যায়ে দুইপক্ষের অভিযোগ শোনার পর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসে এবং দুই পক্ষ রাজিও হয়।
কিন্তু স্থানীয় ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেন ভিকটিমদের সাথে পুর্ব শত্রুতার জেরে উসকানি মূলক কথা বলেন। এসময় উপস্থিত মকবুল হোসেন কাউন্সিলরের গুন্ডা বাহিনী মাহাবুল হোসেন মিলন মিয়া, আনারুল ইসলাম, সবুজ মিয়া সহ নাম না জানা ১০/১২ জন কে লেলিয়ে দিয়ে ভিক্টিম মাসুদ রানা তার বাবা শাহ আলম তার ছোট ছেলে মিলন সহ সাংবাদিক কে মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, নজিরের হাট কাঁচা বাজার সমিতির সদস্য ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মজমুল হক, ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মাসুদ রানার সাথে জেনারেটর এবং তাঁদের কারেন্ট চালানো ব্যবসা চুক্তি নামা লিখিত (এস্টাম বা দলিল) করা হয়। এক বছর এর জন্য ডিট করে দেয় আলোচনা সাপেক্ষে যুবলীগ নেতা মাসুদ রানার কাছে। এর সাপেক্ষে ব্যাবসা নিয়মিত চালিয়ে যান সুন্দর ভাবে। কিন্তু মহামারি করোনার সময় চলাকালিন সঠিক ভাবে ব্যবসা ভালো করতে হিমসিম খান তিনি। ফলশ্রুতিতে বিল পরিশোধ করতেও হিমসিম খাচ্ছিলেন মাসুদ রানা। কিন্তু পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের এক বছর ডিট শেষ হয়ে যাওয়ায় জেনারেটর সহ সব কিছু তাঁর কাছ থেকে ফেরত নেওয়ার প্রস্তাব দেয় মজমুল হক ও তার সদস্য রাসেদুল ইসলাম।
কিন্তু ব্যবসা চলাকালিন কিছু টাকা দোকান ব্যাবসায়ীদের কাছে পাওনা থেকে যায় ততকালিন চলমান ব্যবসাই যুবলীক নেতা মাসুদ রানার। এই টাকার পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার এর মতো। চুক্তি নামায় জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সব মিলে ৪৬ হাজার টাকা। মাসুদ রানার কাছে বকেয়া বিল বাবদ ৯৭ হাজার টাকা জের হয়। মাসুদ রানা ব্যবসায় লোকশান হওয়ায় জামানত এর ২০ হাজার ও ব্যাবসায়ীদের কাছে বকেয়া বাবদ ২৬ হাজার টাকা কে পাবে? এ নিয়ে মজমুল ও রাসেদুল ইসলাম কাউন্সিল রবিউল আবেদিন রতন এর কাছে অভিযোগ করেন।
পরবর্তীতে সব টাকা মিমাংসা করে বাকি ৯৭ হাজার টাকা থেকে ৪৬ হাজার বাদ দিয়ে বাকি টাকা (৫১ হাজার টাকা) মজমুল হককে দেয়া হবে। বাকি টাকার একটি চেক প্রদান করা হয় এবং বলা হয় ২ দুই মাস পরে টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে তা প্রদান করা হবে।
তারপরেও বিচারক এর কথা অমান্য করে মাসুদ রানাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাঁকে নজিরের হাট বাজারে অপমান করে। এর এক পর্যায়ে মাহাবুল, মিলন, রাসেদুল, আনারুল ইসলাম নাম না জানা ১০/১২ জন মিলে মাসুদ রানা তার বাবা শাহ আলম ছোট ভাই মিলন কে মারপিট কিল ঘুশি সহ্ মাটিতে লুটিয়ে ফেলে দেয়। ঘটনার এক পর্যায়ে তাঁর বড়ো ছেলে সাংবাদিক মোশারফ হোসেন তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাঁকেও কিল, ঘুষি ও গলাচেপে ধরে তাকে আহত করে মকবুল কাউন্সিল এর গুন্ডা বাহিনী। পরে হাট কমিটির লোকজন তাঁদের কে উদ্ধার করে বাসায় পাটিয়ে দেয়।
সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন জানান, “আমি বিচারের শেষ পর্যায়ে কাউন্সিলের উদ্দেশ্যে বলি, “আপনি জনগনের প্রতিনিধি, আপনি উস্কানিমূলক কথা বলে সংবিধান পরিপন্থী কাজ করেছেন। সংবিধানের কোন জায়গায় বলা আছে শালিশি বৈঠকে ভিকটিমকে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে নির্জাতন এর অনুমতি প্রদান করতে হবে।” এ কথা বলার সাথে সাথে আমার উপর চড়াও হন এবং তার গুন্ডা বাহিনী আমাকে সহ ভিকটিমকে মার শুরু করে। এক পর্যায়ে হাট কমিটির লোকজন আমাদের কে উদ্ধার করে বাসায় পাটিয়ে দেয়।”
তিনি আরোও বলেন, “আমি সাংবাদিক হিসাবে জানতে চাই জাতির কাছে এটা কোন ধরনের আচারন? কোন ধরনের অসভ্যতা? এই সন্ত্রাসী মকবুল হোসেনের উদ্দেশ্য টা কি ছিলো? পারিবারিক ক্ষোভ নাকি সাংবাদিক হত্যার পরিকল্পনা?”
Leave a Reply